হাউজিং এষ্টেট উপশহর যশোরের বি ব্লক বাসা নং ১৮৪ এর প্রকৃত মালিক কে এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। বাড়িটির প্রকৃত মালিকানা দাবি করে একটি পক্ষ যশোর সদর বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালতের পিটিশনের মাধ্যমে বাড়িটির বিষয়ে বেরিয়ে এসেছে অজানা তথ্য। বাড়িটির প্রকৃত মালিক দাবি করে বাদি পক্ষ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ গণপূর্ত ভবনের চেয়ারমান ১৩জনকে বিবাদী করে সহকারী জজ আদালতে পিটিশন দায়ের করেন। সহকারী জজ আদালতের মামলা নং ২৪/২২। বর্তমানে মামলাটি জজ আদালতের আদেশের জন্য আছেন। যার নং ৫৯/২২। মামলায় বাদি পক্ষ হচ্ছেন, সেক্টর-০৫, উপশহর বর্তমানে বিসিক শিল্প এলাকা,ঝুমঝুমপুর,১নং গলি ৩নং প্লট, তাজামুল হক খানের ছেলে জামিল খান,জলিল খান,মোজাম্মেল খান ও মৃত তাজামুল হক খানের ছেলে হাসিনা খাতুন। পিটিশনে বিবাদীরা হচ্ছেন, ঢাকা সেগুন বাগিচার জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান,সচিব, খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক যশোর ও সভাপতি উপশহর হাউজিং এস্টেট , জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী,নির্বাহী প্রকৌশলী জাতীয় গৃহায়তন কর্তৃপক্ষ খুলনা,উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী যশোর উপবিভাগ,খুলনা ডিভিশন,খালিশপুর খুলনা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা খুলনা হাউজিং এষ্টে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ,বয়রা,খুলনা,উপসহকারী প্রকৌশলী যশোর উপবিভাগ,খুলনা ডিভিশন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ যশোর, চেয়্যারমান ৫নং উপশহর ইউনিয়ন পরিষদ উপশহর যশোর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা যশোর হাউজিং এষ্টেট উপশহর যশোর, যশোর সদর উপজেলার বিরামপুর লিচুতলার আব্দুল হকের ছেলে বিল্লাল হোসেন ও হাউজিং নং বি ব্লক বাসা নং ১৮৪ আলমগীরের ছেলে আরিফ।
বাদি পক্ষ আদালতের আরজিতে উল্লেখসহ দাবি করেন, তার চাচা ইসরাইল খান গত ১০/১২/২০০২ইং তারিখের মৃত্যু বরন করা পর্যন্ত উপশহর বি ব্লক বাসা নং ১৮৪ নং বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। তিনি তার জীবদ্দশায় পুলিশ বাহিনীতে সরকারী চাকুরী করতেন এবং তৎকালীন আর্মস পুলিশের সুবেদার যার ব্যাচ নং ১০৮৫,রেলওয়ে সৈয়দপুর জেলা রংপুরের অধীনে কর্মরত ছিলেন। উপশহর চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র অনুযায়ী ইসরাইল খান মৃত্যুবরণ করার পর তিনি তার একমাত্র ভঅই মৃত তাজামুল হক খানের তিন পুত্র সন্তান এবং তাজামুল হক খানের স্ত্রী হাসিনা খাতুনকে রেখে মৃত্যু বরণ করেন এবং মৃত ইসরাইল খান তার ভাইয়ের তিন ছেলে বাদি পক্ষ জামিল খান,মোজাম্মেল খান,জলিল খান এবং তাদের মাতা তথা মৃত তাজামুল হক খানের স্ত্রী হাসিনা খাতুন বাদি পক্ষই তার উক্ত বাড়ির ওয়ারিশ এবং মালিক হন। যে কারনে বাদি পক্ষ মৃত ইসরাইল খান এর বৈধ ওয়ারিশ এবং মালিক হওয়ায় তারা বিজ্ঞ আদালতে বাড়িটি দাবি করে পিটিশন দায়ের করেন। বাদি তিন ভাইয়ের চাচা ও হাসিনা খাতুনের ভাসুর ইসরাইল খান ওরফে এছরাইল খাঁনের জীবদ্দশায় যশোর পুলিশে কর্মরত ছিলেন।যা পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান এবং স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন আর্মস পুলিশের সুবেদার হিসেবে রেলওয়ে সৈয়দপুর জেলা রংপুরে কর্মরত ছিলেন।
সর্বশেষ তিনি যশোর পুলিশ লাইন থেকে সুবেদার হিসেবে অবসর গ্রহন করেন। অবসর গ্রহন করার পর তার যশোর শহর বা শহরের আশপাশের তার বা তার পৈষ্যদের বসবাস করার কোন স্থায়ী বাড়িঘর না থাকায় তিনি নিজের এবং তার পৈষ্যদের থাকার জন্য যশোর হাউজিং এষ্টেটএর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করে এবং বিগত ১৬/০৫/১৯৬৬ ইং সোনালী ব্যাংক যশোর বরাবর ১৮০ টাকা জমা প্রদান করে যার চালান নং ১৩৭/১৭১ তারিখ ১৬/০৬/১৯৬৬ইং প্রদান করে বরাদ্দ পত্র মেমো নং ২৩১ এইচ,ই তারিখ ২৮/০৬/১৯৬৬ ইং উক্ত বাড়িটি নিজের ভোগ দখল করে শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখল করে বসবাস অব্যাহত রাখেন। উক্ত বাড়িটি বিবাদী পক্ষের লীজ বরাদ্দের নিয়মানুযায়ী ২৭শ’ টাকা করে সর্বমোট ৪কিস্তিতে পরিশোধ করার পর হাউজিং কর্তৃপক্ষ লীজ গৃহীতার অনুকুলে লীজকৃতবাড়ি রেজিষ্ট্রি দলিল করে মালিকানা কাগজপত্রসহ সবকিছু বুঝিয়ে দেয়ার কথা কিন্ত বাদি পক্ষের পূর্ববর্তী ইসরাইল খান সময়মত সবগুলি কিস্তি পরিশোধ করার পরও হাউজিং এষ্টেট যশোর বাদি পক্ষের পূর্ববর্তী ইসরাইল খানকে তার প্রাপ্য বাড়িটি বুঝে না দিয়ে আজ না কাল করে অমানবিক ভাবে ঘুরাতে থাকে এবং তার জীবদ্দশায় তার ন্যায্য প্রাপ্য বাড়িটি বুঝে না দেওয়ায় তাকে সারাটি জীবন চরম হতাশা,দুঃচিন্তা ও মনোকষ্ট ভুগে ভুগে তাকে নিঃশেষ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে।
ইসরাইল খানের মৃত্যুর পূর্বে তৎকালীন হাউজিং এষ্টেট এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা যশোর এর গত ৪/৩/৯০ নিয়ম অনুযায়ী ইতিপূর্বে ইসরাইল খান নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাড়ির শেষ কিস্তির টাকা যার বহি নং ১০৯৪,পাতা নং ২০ তারিখ ১৬/৫/৮৩ ইং। এরপর সকল কাগজপত্র দাখিল করার পরও তার নামে রেজিষ্ট্রি করে না করে দেয়ায় ইসরাইল খান চরমভাবে হতাশা গ্রস্থ্য ও দুঃখ পেয়েছিলেন। বাড়িটির স্বপক্ষে বৈধ কাগজপত্র ও ৪ কিস্তির মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে দেওয়ার পর হাউজিং কর্তৃপক্ষ রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ায় চরমভাবে গাফিলাতি করেছেন বলে বাদি পক্ষ মনে করেছেন। বাদি পক্ষ যশোর হাউজিং এষ্টেটের প্রশাসিনক কর্মকর্তার অফিসে গত ১০/০১/২০২২ ইং সোমবার বেলা ১১ টায় যেয়ে উক্ত বাড়িটি তাদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানালে ওই কর্মকর্তা তাদেরকে অফিস থেকে বের করে উল্টো প্রাণ নাশের হুমকী দেয় বলে মামলার পিটিশনে বাদি উল্লেখ করেন।
https://slotbet.online/